চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে শ্যালিকাকে (১৬) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দুলাভাইকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
১০ মার্চ (সোমবার) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইছানগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।
ভিকটিমের পিতা মোহাম্মদ নাজু বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করছেন।
আটক মোঃ ওমর ফারুক (২৮) চরপাথরঘাটা (৪নম্বর ওয়ার্ড) সৈন্যারটেক পেঁজার বাপের বাড়ির মো: নাছিরের ছেলে। সে পেশায় কন্টেইনার চালক।
ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাদের মেঝ মেয়েকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করছিলেন। ৯ মার্চ রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে ভিকটিম নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় অভিযুক্ত ফারুক সেখানে প্রবেশ করে এবং তাকে শারীরিকভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। শোরচিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।ঘটনাটি পারিবারিকভাবে সমাধান হলেও
পরবর্তীতে ১০ মার্চ বিষয়টি সোমবার রাতে প্রতিবেশী এক মহিলা বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় অভিযুক্ত ওমর ফারুককে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় এবং আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শ্যালিকার স্পর্শকাতর জায়গায়
হাত দেন দুলাভাই। পরেবর্তীতে প্রতিবেশীরা জানতে পারে তখন গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসীরা। যাতে পরবর্তীতে এলাকায় এমন ঘটনা না ঘটে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, অভিযুক্তকে আটক করে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।