কর্ণফুলীর শাহ্ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় বেপরোয়ারা অটোরিক্সা চালকদের মারধরের শিকার হয় নগরীমুখী একটি কাভ্যার ভ্যান।
এমন একটি ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উঠে আলোচনার ঝড়।
গত সোমবার (৩ মার্চ) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, টোলপ্লাজার সামনে তিনটি অটোরিক্সা এসে সড়ক আটকে দিয়ে দৌঁড়ে বুথের পাশে একজন ব্যক্তিকে মারধর করছে। তিনটি অটোরিকশা সড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে আটকে দেয় যানচলাচলও।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহ্ আমানত সেতুর টোল প্লাজার ইজারাদার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কোম্পানি সেল-ভ্যান জেভি’র প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ বলেন, সড়কের মধ্যে অটোরিকশা চালক ও কাভ্যান ভ্যান চালকের সড়কের কোথাও বিরোধ হয়েছিল মনে আমরা ধারণা করছি। যখন কাভ্যার ভ্যান চালক টোলপ্লাজায় গাড়িটি থামিয়ে টোল দিচ্ছিলেন, তখনই অটোরিকশা চালকরা এসে তাকে মারধর করছিল। এঘটনার সময় সেতু কতৃপক্ষের লোকজন দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিলো।
সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ফকিনীরহাট, ক্রসিং, কলেজবাজার, মইজ্জ্যেরটেক, ব্রিজঘাট, সৈন্যারটেকসহ বিভিন্ন সড়কগুলোতে বেপরোয়াভাবে অটোরিকশাগুলো চলছে। কার আগে কে যাবে চলছে সেই প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের মাঝে এই প্রতিযোগিতাটা বেশী দেখা যায়। তাছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ সিএনজি গুলো রাস্তায় যত্রতত্র রাখার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এছাড়াও এসব রিকশায় লাগানো হয়েছে হাইড্রোলিক হর্ন ও এলইডি লাইট। এরফলে হচ্ছে শব্দ দূষণ এবং এলইডি লাইটের কারণে রাতে বাড়ছে দুর্ঘটনা। মানুষের এই ভোগান্তি ও দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, মইজ্জ্যেরটেকে এসব অটোরিকশার জন্য সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারে না। সড়কে দ্রুতগতিতে চলাচল করায় অনেক সময় মানুষের গায়ের ওপর উঠিয়ে দেয় গাড়ি। এছাড়াও এসব যানবাহনকে ঘিরে চলে চাঁদাবাজিও। এই যেন দেখার কেউ নাই।
এছাড়াও চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজায় দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রী ও চালকদের প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার যানজট আরও তীব্র হয়ে উঠে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, টোল আদায়ের ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের গাড়ি আটকে থাকতে হচ্ছে।
কর্ণফুলী ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ আবু সায়েদ বলেন, ‘মহাসড়কের মধ্যে অটোরিক্সা চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের আটক করে আইনপ্রয়োগ করতে গেলে আক্রমণের শিকার হতে হয়ে পুলিশদের। পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সেতুর উল্টোপথে বেশিভাগই চলাচল করে তারা। বিভিন্ন সময়েও আটক করলেও চালকরা সড়ক আটকে রাখাসহ বিভিন্ন ঘটনার সম্মুক্ষিন হতে হয় পুলিশকে। সড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টোলপ্লাজার সামনে ঘটনায় একটি ভিডিও পেয়েছি। তবে, এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।’