জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের হাজার-হাজার ছাত্রজনতাকে হত্যা করে গণঅভ্যুত্থানে পালিয়েছে, তাকে কেউ তাড়ায়নি। ১৯৭১ সালের পরও হাজার-হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগ, এরপর শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে। জনগণকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুধু বন্ধ নয়, তাদের বয়কট করতে হবে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশের সেনা বাহিনীকে হত্যা করেছে, এদেশে হাসিনা কি করেছে, মুজিব কি করেছে সবাই জানে, তারা দেশে আসার আর সুযোগ থাকবেনা, শেখ হাসিনার বিচারের আগে কোন নির্বাচন নয়।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী জনতা কোরআনের পক্ষে জেগেছে, যাদের রক্তে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। ওই রক্ত জামায়াতে ইসলামীর, আমরা দেশে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে চায়, ক্ষমতা নয়, আমরা জনগণের খেতমত করতে চায়। আমরা কারো বাপের আইন নয়, কারো স্বামীর আইন নয়, কোরআনের আইন কায়েম করতে চায়। সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধি না থাকলে দেশ সন্ত্রাস মুক্ত হবেনা, চাঁদাবাজ মুক্ত হবেনা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা ও সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শহিদুল্লাহ্ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য জাফর সাদেক।
আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম-১৩ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাহামুদুল হাসান চৌধুরী, আনোয়ারার আমির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার ওসমান গণি, দক্ষিণ জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য ইসমাইল হক্কানি, আনোয়ারার সাবেক আমীর মাষ্টার মনসুর আলী, ছাত্রশিবির পশ্চিমের সভাপতি আব্দুর রহিম, আমির মনিরুল আবছার, নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর।