পরিবহন খাতে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দেশের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের পরিবহন খাতে চলমান অবৈধ চাঁদাবাজি কেবল পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের জন্য নয়, বরং পুরো জনগণের জন্য একটি জুলুম ও বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দেশের অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা এবং ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা।
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার, প্রশাসন এবং সাধারণ জনগণের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।” এই অবৈধ চাঁদাবাজির নেতিবাচক প্রভাব বহুস্তরে বিস্তৃত।
- পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যার বোঝা যাত্রী ও পণ্যের দামের ওপর পড়ে।
- মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
- আইনের শাসন ব্যাহত হয়, চাঁদাবাজদের পেছনে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
- ব্যবসায়িক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
- সন্ত্রাস ও অপরাধ বৃদ্ধি পায়, চাঁদাবাজ চক্র সন্ত্রাস, চুরি, হত্যার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
চাঁদাবাজি বন্ধ হলে দেশবাসী নিম্নলিখিত উপকার ভোগ করবে:
- পরিবহন ও পণ্যের ভাড়া কমবে।
- বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
- আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
- শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করতে পারবে।
- যানজট কমবে, চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরবে।
- সন্ত্রাস ও মাস্তানি হ্রাস পাবে।
সরকারি রাজস্ব আয় বাড়বে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আমরা চাই, পরিবহন খাতটি একটি ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ ও নিরাপদ ব্যবস্থায় পরিণত হোক। এজন্য সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকল নাগরিকের সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।
মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী
সচেতন নাগরিক ও ছাত্র
ই-মেইল: mostansirolhoque@gmail.com